রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে ধোঁয়াশা

জাকির হোসেন:
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘যে কোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। যে কোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়, ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে।’ এর আগে মধ্য নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ফলে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগোচ্ছে সরকার। যদিও বিরোধী দলগুলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহল। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সংলাপের জন্য সরকারের ওপর অঘোষিত চাপ দিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। তারা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচনে অনড় সরকার। এতে যা হতে যাচ্ছে তা হলো, আবারও একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে দেশ। সেখানে রাজনীতির মাঠে বড় একটি দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বলছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কিছু দিন আগে একটি বিদেশি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে। বিভিন্ন ছোটখাটো দল নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা বিএনপির সমকক্ষ নয়। ছোটখাটো দুটি দল, পাঁচটি দল, দশটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে এটা অনস্বীকার্য যে, মূল বিরোধী দল যে বিএনপি তাদের সমকক্ষ ওরা নয়। ওই দলটি যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে একটা অনিশ্চয়তা বা একটা শঙ্কা, একটা অসম্পূর্ণতা থেকে যেতে পারে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’ তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন যদি কোনো সংঘাত বা সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তারা ‘খুশি হবেন’ বটে, কিন্তু গণতান্ত্রিক চেতনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নির্বাচন ‘অসম্পূর্ণ’ থেকে যাবে।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল যথার্থই বলেছেন। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সব দল নয়, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ জরুরি। প্রধান রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী করে? আমাদের দেশে তো তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বলতে যা বোঝায় তা নেই। অর্থাৎ আমাদের দেশে প্রধান রাজনৈতিক দল মানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সুতরাং এ দুটি দলের কেউ নির্বাচন বর্জন করা মানেই নির্বাচনে অতৃপ্তি থাকা। সেটা যতই সুষ্ঠু হোক না কেন। এ দুটি বড় রাজনৈতিক দল দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। যদিও বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৪৪টি। এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি দল বাদে অধিকাংশ দলের অস্তিত্ব চোখে পড়ে না। এ ছাড়া জোটবদ্ধ রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া অন্য দলগুলোর রাজনীতিতে ভূমিকা খুবই গৌণ। এ কারণে বিএনপি নির্বাচনে না এলে অন্য দলগুলো জোট থেকে মুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে এ নির্বাচন যে অর্থবহ হবে না তা বলাই যায়।

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ আবশ্যক। তা না হলে দেশের বড় একটি অংশের মতামত নির্বাচনে প্রতিফলিত হয় না। আবার বড় দলের নির্বাচন বর্জন গণতান্ত্রিক ধারার প্রতিফলন ঘটায় না। যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এ কারণে দুই দলের মধ্যে সমঝোতা জরুরি। কিন্তু সমঝোতার উপায় কী?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বড় দুই রাজনৈতিক দলকে শর্তহীন সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বলেছেন, শর্তহীন হলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটু কৌশলী হয়ে বলেছেন, সংবিধানের মধ্যে শর্তহীন সংলাপে রাজি আছি। এই সংবিধানের মধ্যে বিষয়টাও তো শর্তহীন হলো না। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই বলছেন বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে না। সম্প্রতি বেলজিয়াম সফর থেকে ফিরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আবারও রাজনৈতিক সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘একটা কথাই বলতে পারি, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্য বদলে বলেছেন, না, বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন। তিনিই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। পার্লামেন্ট স্থিতাবস্থায় থাকবে এবং নির্বাচন কমিশন যা আছে তাই থাকবে। অন্যদিকে বিএনপির নেতারা এত দিন পর্যন্ত শর্ত দিয়ে সংলাপে বসতে চেয়েছে। তারা বলে আসছে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সংলাপ অবশ্যই হতে হবে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে। এই একটি মাত্র ইস্যুতে সরকার সংলাপের আমন্ত্রণ জানালে তারা বিষয়টি ভেবে দেখবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো আগ্রহ তাদের নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের পর তারা এখন শর্তহীন হতে পারবে কিনা সেটাও প্রশ্ন? তা ছাড়া দলের শীর্ষনেতারা অধিকাংশই কারাগারে। সংলাপের বিষয়ে তাদের অবস্থান জানা যাচ্ছে না। আর এ অবস্থায় শর্তহীন বা শর্তযুক্ত কোনো সংলাপেই তো বিএনপির আসার সুযোগ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বানের পর নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় সভায় বসেছে। ৪৪টি দলকে তারা চিঠি দিলেও ২৬টি দল ইসির মতবিনিময় সভায় যোগ দেয়। যদিও সিইসি বলেছেন, যারা আসেনি তারা পরে এলেও আলোচনা করতে সমস্যা নেই। যদিও সিইসি কিছুদিন আগেও বলেছিলেন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ করার আর কোনো ইচ্ছা নেই কমিশনের। কারণ অতীতে তারা আলোচনার উদ্যোগ নিলেও ছোট দলগুলো আলোচনায় এলেও বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি আসেনি। এ কারণে ওই আলোচনা বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছে। তবে এখন কেন আবার এই আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে? নির্বাচন কমিশন কি তাহলে প্রমাণ রাখতে চাইছে যে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট উদ্যোগী ছিল?

জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। শোনা যাচ্ছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেই তারা করছে। সরকার যেহেতু সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন করতে চায় সেহেতু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংকট সমাধানে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সংকট সমাধান না হলে বিরোধী দলগুলো উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করবে, যেটা দেশের জনসাধারণের জন্য সুখকর না।

যদিও সরকার নির্বাচনমুখী। বিরোধী দলগুলোর অবস্থান ও বিদেশিদের চাপ নিয়ে এ মুহূর্তে সরকার চিন্তিত নয়। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলের সভাপতি এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের নেতাদের। গত দুই নির্বাচনের মতো করেই এবারও নির্বাচন পার করতে চায়। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন নির্বাচনের আগেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে, পরেও হবে। ভোটের পর ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনে খুঁত বের করার চেষ্ট করবে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে। যাতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী যদি বুঝতেই পারেন এভাবে নির্বাচন হলে নির্বাচন পরবর্তী সময় কী হতে পারে, তবে সে পরিস্থিতি তৈরির পথ আগে থেকেই রুদ্ধ করার চেষ্টা করা উচিত নয় কি? অর্থনৈতিকভাবে আমরা তো বেশ নাজুক অবস্থায় আছি। করোনা পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি খারাপ বলছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে সিন্ডিকেটের বেড়াজাল। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনের পর যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসার পথ তৈরি হয়, তবে তো সাধারণের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাবে। এ কথা সত্য, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছরে দেশে অবকাঠামো খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। যেটা খালি চোখেই স্পষ্ট। কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থা তো শুধু অবকাঠামো না। খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার মতো ষিয়গুলোও আছে। উৎপাদন বৃদ্ধি, আয় বাড়ার মতো বিষয়গুলো আছে। শুধু অবকাঠামোর উন্নয়ন দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের কী হবে? তাদের মূল বিষয় তো খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংলাপ জরুরি, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রধান দুই রাজনৈতিক দল নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলে ২০০৬ সালে সেই ‘মান্নান-জলিল’ সংলাপের কথাই সামনে আসবে। সেখানেও বিদেশিদের আহ্বানের পর সংলাপ হয়েছিল। কিন্তু দুই দলের অনড় পরিস্থিতি সেই সংলাপ জ্বালাও-পোড়াওর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এবারও যদি পরিস্থিতি সেদিকে যায় তাহলে তা খুবই দুঃখজনক হবে।

সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সব পক্ষকে সংলাপে উৎসাহী করে তুলতে ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর আরও ক’জন সঙ্গী নিয়ে ঢাকা আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। ১০ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্ক ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তার তৎপরতায় পরিস্থিতির ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হওয়ায় তিনি আরও একদিন বেশি থেকে ১১ ডিসেম্বর ফিরে যান। কিন্তু ফেরার আগে সংবাদ সম্মেলনে তারানকো বাংলাদেশের চলমান সংকট সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত করা ছাড়া বিশেষ কোনো অগ্রগতির খবর জানাতে পারেননি। তখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ তারানকোর সফর কার্যত ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করলেও তিনি তা মনে করেন না। তার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতারা আলোচনায় বসাকেই তারানকো তার সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের চার নেতা এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির চার নেতার দুই দফা বৈঠক দেশের বর্তমান বাস্তবতায় নিঃসন্দেহে একটি অগ্রগতি। কারণ প্রধান দুই দলের শীর্ষ নেতা এক টেবিলে বসে কথা বলার গুরুত্ব অবশ্যই ছিল। তারানকো সে চেষ্টাই করেছিলেন।

যদিও ওই সংলাপ থেকে আশানুরূপ ফল আসেনি। বরং রাজনীতিতে সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছিল। এবারও যদি পরিস্থিতি সেদিকে যায় তাহলে তা খুবই দুঃখজনক হবে। রাজনৈতিক দলে বিরোধিতা থাকবে। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের ভোটেই শেষ সমাধান, ফলে জনগণের শান্তি বিনষ্ট না করে সবপক্ষের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানই এ মুহূর্তে প্রত্যাশা। এই কারণেই সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, আমাদের নেতারা সেসব বিষয় অনুধাবন করবেন।

লেখক: সাংবাদিক

zakpol74@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION